কক্সবাজার শহরের প্রাণকেন্দ্র ফজল মার্কেট এলাকা হোটেল ব্যবসার আড়ালে জমজমাট পতিতা ব্যবসা এবং রাস্তার উপর রিতিমত পতিতাদের হাট বাজার বসিয়ে হোটেল রাজমনির মালিক আলম সহ পতিতার দালালরা ব্যবসা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে । হোটেল রাজ মনির সাথে লাগানো সব ভবনে রয়েছে নিয়মিত নামাজের জন্য মসজিদ। কক্সবাজারের প্রাণকেন্দ্রের ব্যবসার মত পবিত্র এবং ধর্মীয় এমন একটা পরিবেশে হোটেল রাজমনিতে চালাচ্ছে পতিতা ব্যবসা। একারনে অত্রএলাকার সমস্ত ধর্ম প্রাণ মানুষের মনে ক্ষোভ জন্মাতে থাকে দীর্ঘদিন থেকে।
গতকাল ১৩ ই মে মাগরিবের নামাজের পর পতিতা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শত শত সাধারন জনগনের ক্ষোভের মুখে পড়ে হোটেল রাজমনির কর্তৃপক্ষ। কক্সবাজারের সামাজিক সংগঠন অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির ও কক্সবাজার ব্রেদার্স ব্যাবসায়ী কল্যণ সমিতির উদ্যেগে হোটেল ঘেরাও করে থানায় খবর দেয়
মডেল থানা এস আই জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হোটেল রাজমনিতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ঐ আবাসিক হোটেল থেকে চার জন পতিতা এবং দুই জন খদ্দেরসহ হোটেল মালিক আলম ,ম্যানেজার সবুজকে আটক করে নিয়ে যায়।
অভিযান শেষে অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির ও কক্সবাজার ব্রেদার্স ব্যাবসায়ী কল্যণ সমিতির উদ্যেগে মাদক, পতিতা ও ছিনতাই সহ কক্সবাজারে সমস্ত অসামাজিক অপরাধ বন্ধের দাবিতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডা. মোহাম্মদ আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলার আবুজাফর, বড়বাজার মসজিদের খতিফ মওলানা কামাল, ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল ইসলাম হাসান শ্রমিক নেতা বাহাদুর , জেলা ছাত্রলীগ নেতা মারুফ, ব্যবসায়ী নেতা মুফিজ প্রমুখ।
পাঠকের মতামত: